ঢাবি সংবাদদাতাঃ রাজধানীর বনানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে। এতে শিক্ষার্থীর স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে আটক করেছে বনানী থানা পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মেঘলা চৌধুরী এলমা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে আত্মহত্যার অভিযোগে নিহত এলমাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
নিহত এলমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছেন। তবে নিহত শিক্ষার্থীর গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তারা এই ঘটনাকে আত্মহত্যা নয় বরং খুন বলে দাবি করছেন।
নিহত শিক্ষার্থীর মামাতো বোন জানান, ‘পারিবারিকভাবে ৭ দিনের পরিচয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন এলমা। কিন্তু বিবাহের পরে তার জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন আসে। সন্দেহবাতিক স্বামী ইলমার প্রতিটি পদক্ষেপে জেরা করতে থাকে। হয়তো এসব নিয়ে বাসায় মারধর হয়। যার ফলশ্রুতিতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে।’
তাছাড়া এলমার আরেক আত্মীয় জানান, ‘ঘুমের ঔষধ খেয়ে এলমা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় স্বামীপক্ষ। একজন মানুষ আত্মহত্যা করলে তার শরীরে কীভাবে আঘাতের চিহ্ন থাকে। এলমা পুরো গায়ে নৃশংস নির্যাতনের দাগ কীভাবে আসে! এটা কোন আত্মহত্যা নয়, বরং তারা ইলমাকে পশুর মতো নির্যাতন করে খুন করেছে।’
মন্তব্য লিখুন